ফরিদপুরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় কাজ করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সারাদেশে প্রানঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব বেড়েই চলেছে। ৫ হাজারের ও বেশি বিদেশ ফেরত বাংলাদেশীদের আগমন ঘটেছে ফরিদপুরে।
এজন্য ফরিদপুরকে চরম ঝুকিপ‚র্ন মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জীবনের ঝুকি নিয়ে নিরলসভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে জনসাধারনের জীবন রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের নিজেদের নিরাপত্তার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।
এরপরও তারা কখনো জেলা প্রশাসক আবার কখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ত্রাণ বিতরনে সহযোগিতা করছে। তারা বিদেশ ফেরতদের বাড়ি চিহ্নিত করে লাল পতাকা টানিয়ে এলাকার জনগনকে সচেতন করছে এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষে রাতদিন ঝুকি নিয়ে কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখাযায়, ১৮ এপ্রিল সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) শাহ মোঃ সজীব ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন । এসময় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপজেলা প্রশিক্ষক রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে আনসার বাহিনীর একটি চৌকষ টিম নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচলনায় সহযোগিতা করেন।
জানাযায়, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দোকান-পাট খোলা থাকার কথা থাকলেও যে সকল দোকান ০১ টার পরে খোলা ছিল তাদেরকে বুঝিয়ে দোকান বন্ধ করানো হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টার পরে সকলকে ঘরে থাকার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা পরিচালক মহোদয়ের আদেশ মোতাবেক ঢাকা রেঞ্জ কমান্ডারের নির্দেশনায় ফরিদপুরের জেলা কমান্ড্যান্ট জনাব মোঃ সেলিমুজ্জামানের পরিকল্পনায় বিভিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক রাজিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন জাতির এই ক্লান্তিকালীন সময়ে জনগনের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। যদিও চারিদিকে করোনা ভাইরাসের ঝুকি রয়েছে তবুও আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মাঠে রয়েছি এবং থাকবো, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার অঙ্গীকার নিয়েই এই পেশায় নেমেছি। বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের জন্য সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরন এবং বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS